সুনামগঞ্জ জেলার অদূরবর্তী জনপদ সাচনাবাজার ইউনিয়ন। জেলা শহর হতে ১৯ কিঃ মিঃ পশ্চিমে ঐতিহ্যবাহী সাচনা বাজার, বাজারে প্রবেশ করলেই দেখা যাবে শত বছরেরও বেশী সময়ের কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বেশ কয়েকটি কড়ই ও অশ্বথ গাছ। ঐতিহ্যবাহী এই সাচনা বাজারকে কেন্দ্র করে এর নামকরন করা হয়েছে সাচনা বাজার ইউনিয়ন। ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী সুরমা। এছাড়া মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে মেঘালয় থেকে নেমে আসা রক্তি নদী। রক্তি ও সুরমার মিলিত স্থানে অবস্থিত সাচনা বাজার ইউনিয়ন পরিষদ কমপেস্নক্স ভবন। এখান থেকে জেলা শহরের সাথে রয়েছে সড়ক ও নদী পথের উত্তম যাতায়াত ব্যবস্থা। সাচনা বাজার থেকে জেলা শহরে যেতে যেতে যতদুর চোখ যায় দেখা যাবে বাংলাদেশের বিখ্যাত ফাজিরপুরের বালি ও পাথর। ঘাটে ঘাটে নোঙর করা জাহাজ, শত শত কর্মজীবি শ্রমিক। সবকিছু মিলে মনে হয় যেন একটি নদী বন্দর। কালের পরিক্রমায় সাচনাবাজার ইউনিয়ন আজ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, খেলাধুলা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রেস্বমহিমায় সমুজ্জল। মাননীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব প্রসুন কুমার চক্রবর্ত্তী ও চেয়ারম্যান জনাব রেজাউল করিম শামীম মহোদয়ের ঐকামিত্মক প্রচেষ্ঠায় পরিষদটি আরো গনমুখী করার জন্য চলতি অর্থ র প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এর মেরামত ও আধুনিকায়নের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। পরিষদের প্রবেশ দ্বারে রয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতীর জনক বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি। ডান দিকে রয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের অংশ হিসেবে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার। বামাপশে রয়েছে চেয়ারম্যান মহোদয়ের বসার কক্ষ। পরিষদের সামনে রয়েছে একটি মনোরম বাগান। দোতলায় ভিআইপিদের বিশ্রামের জন্য রাখা হয়েছে উত্তম ব্যবস্থা। ১৭ জানুয়ারী, ২০১৭ খ্রিঃ তারিখ মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয় এখানে উদ্বোধন করেন একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ও একটি সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। উলেস্নখিত ট্রেনিং সেন্টার হতে প্রতি তিন মাস অমত্মর অমত্মর ৩০ জন নারী ও পুরম্নষ কর্মমূখী শিক্ষা নিয়ে বেরিয়ে যাবে। সবকিছু মিলে ইউনিয়ন পরিষদটি এখন গনমূখী।